কবির চিঠি কবিকে

উমাপদ কর

প্রকাশিত : জুন ০১, ২০১৯

প্রিয় উমাদা (কবি উমাপদ কর) ইনবক্সে জানালেন, তোমার মেইল দ্যাখো, `ভ্যান গঘের চশমা` নিয়ে আমার সামান্য পাঠ-প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। রাতে মেইল খুলে উমাদা ভালোবাসা ও প্রশ্রয় পাঠ করে আমি মুগ্ধ। অগ্রজের নিকট অনুজের এ এক অসামান্য প্রাপ্তি। আমার মুগ্ধতার সেই সূত্রমুখ... মাসুদার রহমান

প্রিয় ভাই,
দু-দিনে দু-বার পড়ে ফেললাম তোমার কবিতার বই ‘ভ্যানগঘের চশমা’। চমৎকার। এর কিছুদিন আগে ‘হরপ্পা’ পড়েছিলাম। জানিয়েওছিলাম সে প্লুততার কথা। তোমাকে অনেকদিন পড়ছি। সেই ‘হাটের কবিতা’ থেকে। শুধুমাত্র ‘মাসুদার রহমানের কবিতা’টা পড়া হয়নি। একজন সৃষ্টিশীল মানুষকে টানা পড়তে থাকলে, আর খুব মাঝেমধ্যে কথাবার্তা মিথস্ক্রিয়া চলতে থাকলে, উভয়ে একটা রসায়ন তৈরি হয়। সেই রসায়ণের দুটো দিক থাকতেই পারে। যেমন আবেগসমৃদ্ধ সম্পর্কের মেল-এ পরস্পরের স্তুতি, যা বাংলা সাহিত্যের উঠোনে প্রায়ই দেখা যায়, আরেকটা, সম্পর্কের টানাপোড়েনে বীতশ্রদ্ধতার জন্ম, যেখান থেকে একটা যেনতেন নস্যাৎ করার অভিপ্রায়ে চুপ করে থাকা, এ-ও দেখে থাকি। এখন, এ-দুটোর একটাও আমাদের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত নয়। একজন অগ্রজ হিসেবে জ্ঞানত কখনো নিজের কবিতা-ভাবনা অনুজের ওপর চাপিয়ে দিই না। আবার অনুজের যেকোনো নতুন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে সাধুবাদ জানাই, মুক্তকণ্ঠে যতটা পারি কলম ধরি। আবার এমনও হয়, প্রচণ্ড শক্তিশালী, চিন্তা-চেতনায় মুক্ত প্রসারিত, কবিতাকরণে প্রথাবিরোধী, এমন কি আবহমান কবিতাধারায় সংস্কারপন্থী, কারও কবিতাভ্রমণে ঠিক উজ্জীবীত না-হতে পারলে নিভৃতে তাকে সে-কথাটা জানাতে ভুলি না। যদিও তার নিজেকে নিজের মূল্যায়ণই আসল। সৃষ্টির বিচিত্রতাই এটা ভাবতে আর করতে আমাদের সহায়তা করে। নয়ত প্রকৃত শিল্পের এত কদর থাকতো না। বিশেষত কবিতার মতো সুকুমার শিল্পের।

কবিতার কথাই হোক তাহলে। নামটা, ভ্যানগঘের চশমা, শিল্প-সাহিত্যের জগতে তাঁর নাম কে না জানে? কিন্তু তিনি চশমা পরতেন কিনা সে আমি অন্তত জানি না। তুমি কি ছবিতে কোথাও দেখেছ? বোধহয় না। তাঁরই চশমা। একটা কল্পনা আর সম্ভাবনার মেলবন্ধন। আবার একজায়গায় গান্ধীজীর চশমার কথাও এসেছে। “চশমাটি কে রেখে গিয়েছে? আমি সেই চশমাটি / মহাত্মা গান্ধীর চোখে পরিয়ে দিয়েছি” (পৃ-১৬)। গান্ধীজী চশমা পরতেন এটা আমি জানি। তুমিও জানো। ছবিতে এক বিশেষ চশমা পরিহিত গান্ধী আমরা দেখেছি। এখানেও কল্পনাতেই গান্ধীর চোখে চশমা পরাচ্ছেন কবি। কিন্তু এখানে সম্ভাবনাটি নেই। এটুকুই পার্থক্য। তাহলে এই দু-ক্ষেত্রেই চশমাটা কি কোনো ইঙ্গিত, ইশারা, প্রতীক? এবং চশমাটা দুজন মণীষীর সঙ্গে যুক্ত। আরেকটু দেখা যাক। “ভ্যানগঘের চশমাটা পকেটেই-ই থাকে; কখনও পরি না/আজ মেঘ করে এলো। কৌতূহলবশত চশমাটি চোখে/বারান্দা হতে তাকিয়েছি মেঘের দিকে” (পৃ-১৫)। বোঝা গেল ভ্যানগঘের চশমাটা থাকে কবির পকেটে, যা তিনি পরে থাকেন না, হঠাৎই কৌতুহলবশে পরেছেন। আর পরে দেখছেন এক অদ্ভুত দৃশ্য। “জানলায় দাঁড়িয়ে এখন দেখছি অঝোর বৃষ্টিগুলো তোমার সন্তান” (পৃ-১৫)। সুতরাং চশমা মনীষীদের হলেও তা কোনো প্রতীক নয়, একটা ভিন্ন ভাবনার ইঙ্গিত। আরেকটা কথা, এই যে কবির ‘অঝোর বৃষ্টিগুলো তোমার সন্তান’ – দেখা, অনুভব করা, এটা শুধু কল্পনার বিস্তার ঘটিয়েই সম্ভব হয় না, অনুভবে আসে না। এখানে চেতনা কাজ করে, আর চেতনার বিস্তার প্রয়োজন হয়।

“বাইকে যেতে ঘোড়াটির দেখা পেলাম। ঘাস খাচ্ছে। নাকি ঘাসের আড়ালে মুখ রেখে হাসছে ঘোড়াটি/ভরা্মাঠ জোছনা পান করে ফিরে এসে দেখি, আমার বাইকটি খেয়ে নিয়ে ঘোড়াটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি ওর পিঠে বসে ধু ধু মাঠ পাড়ি দিয়ে বাড়ি আসছি” (পৃ-১০)। একটু অ্যাবসার্ড লাগছে না? লাগছেই তো। ঘোড়া বাইক খেয়ে ফেলেছে। আর কবি তাতে সওয়ার হয়ে বাড়ি ফিরছেন। কল্পনা, চেতনার বাইরে বেরিয়ে যেতে পারলে অ্যাবসার্ডিটি কাজ করতেই পারে, আর তার মাধ্যমে এক কবিতার জন্ম হতে পারে। অপূর্ব। আলোড়নকারী। আবার আরেকটি ভাবনাও আমার পাঠাভ্যাসে ধরা দেয়— যন্ত্র আর জীব। এই ঘোড়াই ছিল একদা বাহনের মূল হকদার, যার জায়গা নিয়েছে বাইক, সেই বাইককেই রিপ্লেস করছে ঘোড়া। চলমান সভ্যতার আঙিনায় সেও এক প্রায়-অ্যাবসার্ডিটি। হতে পারে এর মাধ্যমেই কবি নগর-সভ্যতার হাঁসফাঁসের বাইরে বেরোতে চান, যা তার যাচনাও। আরও দু-একটা জায়গায় ঘোড়া এসেছে। দেখি তার ভাবগতিক। হ্যাঁ, পেয়েছি। কবিতার নাম, ‘আমার বাঙলা কবিতা- ৪’। “নিজ ঘোড়াটির জন্য সামান্য সংশোধনী দিই/পা চারটি শক্ত উইলো কাঠের। স্টিলের কেশর।/ দুটি চোখ পিতলের। গোপন ডিভাইস বসানো/ কোন্ট্রোল রিমোটে হোক/ চাহিবা মাত্র, ঘোড়াটি তা দিচ্ছে বসে কবিতার ডিমে” (পৃ-২৩)। এখানে আগের মতো কিছু না। এখানে ‘আমার বাঙলা কবিতা’ পর্যায়ে পাঁচটা কবিতা। নিশ্চয়ই নিজস্ব কবিতাভাবনা সম্পর্কিত কিছু কথাবার্তা কবিতারই মাধ্যমে। তো, এখানে দেখলাম, অ্যাবসার্ডিটি কিছু নেই, তৈরি করা হয়েছে এক বিমূর্ততা। বর্ণনায় সেই বিমূর্ততা গঠন। এমন একটি ঘোড়া, যার পা শক্ত উইলো কাঠের, কেশর স্টিলের, চোখ পেতলের। সবই এক কাঠিন্যের দ্যোতক। নিজস্ব ঘোড়াটির সংশোধিত রূপ এটি— যা কবিতার ডিমে বসে তা দিচ্ছে। ডিমে তা দিলে তার ভেতরের প্রাণ বাইরে আসে। অর্থাৎ কবিতা জন্ম নিতে পারে। কিন্তু যেহেতু এটি নিজস্বতার সংশোধিত রূপ, তাই এই কাঠিন্যে ভরা বিমূর্ত ঘোড়াটি, যার মধ্যে গোপন ডিভাইস বসানো, যা আবার রিমোটে চলে, তা কবির নিজস্ব ঘোড়া নয়। একটা সার করা যেতে পারে, কঠিন, দুর্বোধ্য, দুরুহ, কমিউনিকেশনলেস ঘোড়া তথা কবিতা তার কবিতাভাবনায় সাড়া জাগায় না। এখানে এক থেকে পাঁচ (চার বাদ দিয়ে) কবিতাগুলো পড়লে তোমার কবিতাভাবনা নিয়ে যে ভাবনা আমার মধ্যে চারিত হয়, তা সহজ করে বললে দাঁড়ায়—
১) মানুষই কবিতার কেন্দ্রে থাকুক, বিভ্রমী মানুষ, কাঁদা মানুষ, ধোঁয়াশাগ্রস্ত মানুষ, বিষাদে-নির্জনতায় থাকা মানুষ, অবশ্যই প্রকৃতির অঢেল কোলে।
২) ‘নতুন কবিতা’, ‘অপর কবিতা’, ‘পুনরাধুনিক কবিতা’ ইত্যাদি কবিতা-তত্ত্বের কবিতা আসলে কী? যা, আসলে দুধ ছাড়া গরম চা। আর যেখানে দুধছাড়া চায়ে (কবির ভাষায় ‘বিধবা চায়ের কাপে’) লেবুগাছ তথা লেবু্‌, গাভীর তথা দুধের ভূমিকা পালন করে।
৩) জ্বরের ঘোরে, বা যে কোনো ঘোরে আবোল-তাবোল বকাই কবিতা নয়। আরশোলা পাখি নয়, যার আদিগন্ত ভ্রমণের ক্ষমতা আছে। ঝিঁঝিঁ-পোকার ডাক সঙ্গীত নয়, কবিতা তো নয়ই। জ্বর-ঘোরের বদলে, জ্বরগ্রস্ত মানুষের স্বাভাবিক চাহিদা—এক গ্লাস জল। আর তার ওষধি—‘চাঁদ একটি প্যারাসিটামল’। প্যারাসিটামল-চাঁদ কবিতা।
৪) আগেই বলেছি।
৫) শক্ত-কবিতা, যা সাধারণে সেদ্ধ হয় না, প্রেসার-কুকারের বারবার সিটিও যাকে উদ্ধার করতে পারে না, এবং এই ধরণের কবিতার সঙ্গে পাঠককে কবে যে ফ্রি-তে একটা প্রেসার-কুকার দেওয়ার কথা ঘোষিত হবে, তা নিয়ে ভাবনা। উলটোদিকে আড়ালপ্রিয় কবিতা, হতে পারে ইঙ্গিতধর্মী, হতে পারে নরম, হতে পারে অনুষঙ্গের ইশারাভরা, যা একটা রোমান্টিক চোয়াল চিবোতে না চাওয়ায় বা পাওয়ায় স্বাদটাই পেল না।

কবিতাগুলোর কিছুটা কাঁটাছেঁড়া করা হলো। কবিতার কাঁটাছেঁড়া কোনো প্রতিক্রিয়া নয়। কিন্তু এখানে আমাকে করতেই হলো একটা উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে। সেটা হলো কবিতা ও নির্মাণ নিয়ে তোমার কবিতাভাবনাটা জেনে নেওয়া, বুঝে নেওয়া। সেই সূত্রে এখান থেকে আমি পেয়ে যাই তোমার কবিতাভাবনাসকল। সংক্ষেপে বলতে গেলে যা দাঁড়ায়— প্রকৃতির অঢেল কোলে মানুষই কবিতার কেন্দ্রে থাকুক বা তাকে নিয়ে আলোড়িত হোক; কবিতায় তত্ত্ব প্রয়োগ, তা যে-কোনো রকমই হোক, (নতুন, অপর, পুনরাধুনিক, বা অন্য কিছু) তা হলো দুধ ছাড়া গরম চা, অনেকটা অন্তঃস্বারশূন্য; আবোল-তাবোল বকাই কবিতা নয়, আরশোলা পাখি নয়, ঝিঁঝিঁ-র ডাক সঙ্গীত নয়, কবির জ্বরগ্রস্ততার ওষুধ হলো নিসর্গ তথা প্রকৃতি; কাঠিন্যে ভরা, দুরুহ, দুর্বোধ্য, কমিউনিকেশনলেস বিমূর্ততায় ভরা ঘোড়াটি ডিমে তা দিয়ে অশ্বডিম্ব ফোটায়; শক্ত, অপাচ্য, হযবরল কোনো কবিতা নয়, কবিতা আড়ালপ্রিয় ইঙ্গিতধর্মী স্বাদ-উদ্রেককারী। এই ভাবনাসকল সামনে চলে আসায়, আমার পক্ষে সহজেই এই বইয়ের অন্তস্থলে গিয়ে পৌঁছুতে সময় লাগল না। আমি অকপটে বলতে পারি, এই বইয়ের সমস্ত কবিতাই এই ভাবধারায় রচিত। ভাব-ভাবনায়, চিন্তা-চেতনায়, ভঙ্গিতে-নির্মাণে, ভাষায়-কমিউনিকেশনে পারফেক্টলি তুমি তোমার ভাবনারাজিকে প্রয়োগ করতে পেরেছ। এ বড়ো আনন্দের, বড়ো শ্লাঘার।

সবশেষে ‘ডায়েরি’ কবিতাংশগুলো নিয়ে কিছু কথা, আর এই বই পড়ার সঙ্গে আমার ভাবনার কিছু কথা বলে শেষ করব। ৩ নভেম্বর ২০১৬ দুপুর —“পাড়ার গানের দলে গান হয়ে আমিও ছিলাম। ওরা গেছে বায়নার গান নিয়ে দূরের মেলায়/আমার কোথাও যাওয়া কেন যে হয় না!” একটা হাহাকার, ব্যক্তিগত হতে গিয়েও বেজে উঠতে পারে অনেকের বুকে। আবার এই হাহাকারটাকেই, বিষাদটাকেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। “রূপসী ফড়িং তার ডানা দুটো ফেলে গেছে, কুড়িয়ে নিয়ে আমি পকেটে রেখেছি/আমার ফড়িংজন্মে ডানা দুটো উড়বার কাজে লাগতে পারে”। ফড়িংজন্ম টা এ-জন্মেই। ডানা, যা ভ্রমণের ইঙ্গিত, আর ওড়ার সম্ভাবনার মধ্যে বিষাদের ফিকে হয়ে আসা। ০৪ নভেম্বর ২০১৬, ভোর। জানিনা সেদিনটা সত্যিই তথাকথিত ছুটির দিন ছিল কিনা। কবির কাছে যে-কোনো দিনই ছুটির দিন। তো এমনই একটা ছুটির দিনে রিমোট-বাটন-ক্লান্ত কবির অনুভবে এল— “কাছের ধানক্ষেত ছুটির দিনেও তুমি দূরের নেপচুন”। ঈঙ্গিত বা ইশারা কিছু নয়, আনুষঙ্গিক ঘটনাক্রম, আর শেষে এক উপলব্ধি, দূরত্ব সম্পর্কীয়। দূরত্ববোধই এই কবিতার চাবিকাঠি। ০৪ নভেম্বর ২০১৬, সকাল। “আমার উঠোন দেখে মনে হয় গাছদের রিসাইকেল বিন/অনেক ভাবনা, তার সামান্য লেখা আর সমস্ত লেখা থেকে দু’একটি তোলা থাকে টাইম লাইনে”। নির্মাণ-প্রক্রিয়া, যার মধ্যে এক কবিকে যাপন করতে হয়। ডিলিশান আর ডিলিশান। নিগেশান আর নিগেশান। অঢেল ভাবনা থেকে কয়েকটার অসম্পূর্ণ ক্লিক। আর সেই অসম্পূর্ণতা থেকেই দু-একটা কবির নিজের হয়ে দাঁড়ায়। এখানে সব-কটা কবিতাই আমার খুব ভালো লেগেছে।

অনেকদিন লিখছ। এখন লিখলেই কবিতা হয়। কিন্তু কথাটা হচ্ছে কিভাবে লিখবে। একটা নিজস্ব পথও বেছে নিয়েছ। খুবই ভালো কথা। তোমার ভাষার ভঙ্গিটা ‘Speak Easy’। যা তুমি করে দেখিয়েছ। আমি গত পাঁচ-ছ বছর ধরে এই চিন্তাটা শুধু মুখে বলছি না, করবার প্রয়াসে আছি। তার মানে আমি ‘Back to Pavilion’ করতে চাই না। নব-চিন্তা-ভাবনা-চেতনা-চেতনার প্রসারণ (তুমি তো জানো আমি চেতনার প্রসারে বিশ্বাসী) এসবের মাধ্যমেই ‘Speak Easy’। জানিনা, কতটা কী করতে পারছি। কিন্তু তুমি এই বিশ্বাসে স্বাবলম্বী। তুমিও ‘Back to Pavilion’-এ বিশ্বাসী নও। সে তোমার কবিতা পড়লেই অনুভূত হয়। তোমার ইশারা, ইঙ্গিত, আড়াল, উঁকি, কিছুটা বলতে চাওয়া-কিছুটা লুকিয়ে রাখা, ব্যক্ততা-অব্যক্ততা, কী যেন বলতে চাই-সবটা বলি না, এ-সবে মেশানো নির্মাণ তোমার ভাবনা-জোনটাকে সামনে আনতে সার্থকভাবে সহায়তা করেছে বলেই আমার মনে হলো। অনেক বকবক করলাম। ভুল-ভালও হতে পারে। হলে মার্জনা কোরো। ভালো থেকো। কবিতাময় হয়ে থেকো। ভালোবাসা।

একুশে বইমেলা ২০১৮