‘গাল্লি বয়’ সিনেমার একটি দৃশ্য
উপমহাদেশে র্যাপ সঙ্গীতের পাঁচ বছর
তুহিন খানপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
উপমহাদেশের মিউজিকে পাঁচ বছরে সবচাইতে সম্ভাবনাময় ফর্ম ছিল কোনটা? আপনার মতের সঙ্গে মিলবে কিনা জানি না, আমার মত হইল— হিপহপ বা র্যাপ সং। কমার্শিয়াল র্যাপের বাইরে, আসল র্যাপ সং ফ্লারিশ করছে পাঁচ বছরে এই অঞ্চলে। র্যাপের যে মূল আবেদন, যা কমার্শিয়াল র্যাপে প্রায়ই মিসিং থাকত, সেইটাই আমরা দেখতেছি এই নয়া র্যাপ কালচারে।
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া `গাল্লি বয়` মুভিটা এর একটা খণ্ডচিত্র মাত্র। ইন্ডিয়ায় র্যাপ সংয়ের হিস্ট্রি খুব পুরাতন না। যদি এমনকি, শঙ্কর মহাদেভানের `ব্রেদলেস`রেও র্যাপের একটা প্রোটোটাইপ ধরি (সম্প্রতি ইন্ডিয়ার জনপ্রিয় হিপহপ সিঙ্গার হানি সিং তাই বলছেন), তবু। আমাদের দেশে আমরা দুইজন ইন্ডিয়ান র্যাপাররেই বেসিক্যালি চিনি বেশি। হানি সিং আর বাদশা। এরা দুইজনই পাঞ্জাবের। নানা কারণে পাঞ্জাবের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে র্যাপ/হিপহপের বাজার চাঙ্গা। এর একটা কারণ হইতে পারে এই যে, হিপহপের জন্য যে কালচার দরকার, পাঞ্জাবে সেইটা আছে। হিপহপ একটা মুক্তির মতো জিনিশ; চিৎকার-চেঁচামেচির ভিতর দিয়া ক্রিয়েটিভিটি তৈরির জিনিশ। এই জিনিশ `ভদ্র বাবু সমাজে` তৈয়ার না হওয়াই স্বাভাবিক, কোনোদিন হয়ও নাই।
বাদশা কিংবা হানি সিংরা বেশিরভাগই কমার্শিয়াল র্যাপই করছেন মূলত। কমার্শিয়াল র্যাপ বাজারে বেচার জিনিশ। আমরা অনেকেই অবাক হই যে, যে হিপহপের জন্ম হইল আমেরিকার রাস্তাঘাটে, এই জিনিশ আমাদের দেশে আইসা এত এলিট হইল ক্যামনে? কারণটা হইল, এই কমার্শিয়ালিজম। ধরা যাক, একজন র্যাপার। সে র্যাপ করে। আমাদের সমাজের বাস্তবতায়, কমার্শিয়াল না হইলে তার অবস্থাটা কী হইতে পারে, ভাবেন তো? ভাত পাবে না। ফলে কমার্শিয়াল কাজ করা লাগে। আর ওইটা করতে গিয়া যাদের কাছে তার হিপহপ বেচা লাগে, তাদের মতো কইরাই হিপহপ বানাইতে হয়। ফলে উপমহাদেশে হিপহপ মানে এই পাঁচ বছর আগপর্যন্তও ছিল, বড়লোকের মদ খায়া মাতাল হইয়া গাওয়া আবোল তাবোল কিছু লাইন। আরেকটা কারণ হইল, এখানকার র্যাপ একটা কপিপেস্ট জিনিশ। লিরিক্স থিকা নিয়া মিউজিক ভিডিও, সব। ইওরোপের জিনিশ হিশাবেই এইটারে কপিপেস্ট করা হইছে। ইওরোপের আর যত জিনিশ আমরা কপিপেস্ট করছি, সেগুলার যেমন দুর্দশা হইছে, এইটার ক্ষেত্রেও তাই হইছে।
কিন্তু সেই সময় আর নাই। পাঁচ বছরে সময় অনেক বদলাইছে, বদলাইছে হিপহপ। `গাল্লি বয়` এই বদলের পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তো বটেই। এই `গাল্লি বয়`র মাধ্যমেই প্রথম, ইন্ডিয়ার আন্ডারগ্রাউন্ড র্যাপাররা ফ্লারিশ করছে। যারা মুভিটা দেখছেন, তারা জানেন যে— মুম্বাইয়ের বস্তিতে, অলিতে-গলিতে র্যাপ কইরা বড় হওয়া পোলাপানের মুভি এইটা। মুভিটাতে বাস্তবের ভাইব তৈরি করার জন্য, কোনো কমার্শিয়াল র্যাপার বা কম্পোজাররে মিউজিকের দায়িত্ব দেয়া হয় নাই। এই মুভির ফুল সাউন্ডট্র্যাক তৈরি করছে পুরা ভারতের ৫৪ জন আন্ডারগ্রাউন্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট র্যাপার। মূলত এই মুভির মাধ্যমে আন্ডারগ্রাউন্ড র্যাপ মেইনস্ট্রিমও হইছে ইন্ডিয়ায়, অনেকাংশে। `এবিসিডি`র মাধ্যমে যেমন অনেক ট্যালেন্টেড ডান্সার তৈরি হইছিল, `গাল্লি বয়`র মাধ্যমে তেমন উইঠা আসছে একঝাঁক নয়া র্যাপার। এরা শুধু পাঞ্জাবের না, এরা ভারতের কমার্শিয়াল সিটি মুম্বাইয়ের বস্তিতে, মিডলক্লাশ ফ্যামিলিতে বড় হওয়া পোলাপান।
`গাল্লি বয়`র ইফেক্ট পড়ছে এই বাঙলাদেশেও। এই মুহূর্তে লোকপ্রিয়তার দিক দিয়া বাঙলাদেশের অন্যতম সেরা র্যাপার জুটি মনে হয় রানা আর তাবিব। এই রানারে কিন্তু সবাই `গাল্লি বয় রানা` নামেই চিনছে। নামটা রানার সাথে মিলাও গেছে একশ একশ। বাঙলাদেশে প্রতিবাদী গানের ধারাগুলার দিকে তাকান। একটা সময় এই ধারার গান ছিল: দেশাত্মবোধক, প্রতিবাদী। পরে হায়দার সাহেবের মতো লোকেরা কেউ কেউ ইন্ডিভিজুয়ালি ট্রাই করছে। বামদের `গণসংগীত` জিনিশটা একসময় বেশ জনপ্রিয় ছিল, এখন মরা। তাইলে? আপনি ইউটিউবে সার্চ মারেন। বাঙলাদেশে পাঁচ বছরে প্রতিবাদী গানের ধারায়ও তরুণদের প্রথম ও প্রধান চয়েজ র্যাপ। তো যা বলতেছিলাম। এই যে নতুন একঝাঁক র্যাপার উইঠা আসছে উপমহাদেশে, এদের প্রবণতা কী? এদের প্রবণতাগুলারে চিহ্নিত করার আগে বইলা নিই, এই নতুন ধারার র্যাপারদের মধ্যে, যে অল্প কয়েকজনের গান আমি শুনছি তাদের মধ্যে, আমার সবচাইতে প্রিয় হইল `এমিওয়ে বান্টাই`।
আপনি যদি টিকটক ইউজার হন, ওয়েব মিডিয়ার রেগুলার সাবস্ক্রাইবার হন, তাইলে অবশ্যই এই লাইনগুলা একবার হইলেও শুনছেন: `পায়সা কামানা আসান হ্যায়, পেয়ার ক্যায়সে লায়ে গা/সুইমিংপুল ছোড় আপুন সামান্দার ম্যায় নায়ে গা/ফির সে মাচানে বোলে হা ফির সে মাচায়ে গা!` অথবা: `অ্যায়সি না ক্যাহ রাহা হু সারি বান্দি গলত হ্যায়/বাস ম্যায় নে জিস সে পালা বাড়া উস কা সোচ আলাগ হ্যায়।` কিংবা: `আলহামদুলিল্লাহ! মেরা ফ্রেন্ড মেরা সোলজার`। সোশাল মিডিয়া আর ওয়েব প্লাটফর্মগুলায় পাবলিকের কানে আর মাথায় ঝড় তোলা ভাইরাল গান এইগুলা। প্রত্যেকটাই এমিওয়ের।
এমিওয়ে কে? এমিওয়ে মুম্বাইয়ের একটা মিডল ক্লাশ ফ্যামিলির ছেলে। আসল নাম শেখ মুহাম্মদ বিলাল। ছোটকালে এমিনেমের র্যাপ শুইনা বিলালের মনে হইছিল, জীবনের রাগ, ক্ষোভ, কষ্ট, অপ্রাপ্তি— এগুলার যথার্থ এক্সপ্রেশনের জন্য র্যাপের মতো ভালো শিল্পমাধ্যম আর হয় না। যা ভাবা, তাই কাজ। র্যাপ লেইখা বাপরে শুনাইলো বিলাল। বিলালের বাপ তখন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা কইল তারে। বিলালের র্যাপটা ছিল ইংলিশে লেখা। তার বাপ কইল, র্যাপ হইলেই যে ইংরেজি হইতে হবে, তা না। র্যাপ তো বাজারের ভাষা দিয়া লেখা লাগে। বিলালের লাইফে ওইটা ছিল টার্নিং পয়েন্ট। তার স্টেজ নেম হইল `এমিওয়ে বান্টাই`। তার প্রিয় দুই র্যাপার `এমিনেম` আর `লিল ওয়েনে`র নামের দুই অংশ জোড়া দিয়া হইল `এমিওয়ে`। আর বাপের কথা তখন মগজে গাঁইথা গেছে তার; নামের সেকেন্ড পার্ট `বান্টাই` মুম্বাইয়ের লোকাল বুলি, যার অর্থ `ব্রো`র কাছাকাছি। শুরু হইল এমিওয়ে বান্টাইয়ের যাত্রা।
যারা `গাল্লি বয়` দেখছেন, তারা এমিওয়ে বান্টাই আর এমসি আলতাফের `র্যাপ ফাইট` দেখছেন নিশ্চয়ই৷ যদিও এমিওয়ে তখন অত মশহুর না। কিন্তু এমিওয়ে ছিল সেইসব আন্ডারগ্রাউন্ড র্যাপারের মধ্যে অন্যতম, যারা `গাল্লি বয়` মুভির আসল নায়ক। আন্ডারগ্রাউন্ড র্যাপ কী জিনিশ? বন্ধ দোকানে, বাসাবাড়ির ছাদে, পুরান গুদামে, বস্তির গ্যারেজে— এইরকম বিভিন্ন জায়গায় রাতের পর রাত ফ্রি স্টাইল করে একদল র্যাপার। মুখে মুখে বানাইতে থাকে ছন্দ, মিউজিক। আমাদের এইখানে যদিও একটা ধারণা আছে আবছা আবছা, যে— র্যাপ মূলত মিউজিক। এই ধারণা মূলত কমার্শিয়াল র্যাপের কারণে পয়দা হইছে। কিন্তু র্যাপের মূল প্রাণ তো আসলে লিরিক্স। আন্ডারগ্রাউন্ড র্যাপাররা সেই জিনিশটারেই গুরুত্ব দিছেন। জাস্ট লাইক এমিওয়ে।
এমিওয়ে লিরিক্স খোঁজা শুরু করল। মুম্বাইয়ের অলিতে-গলিতে, বাসে-বস্তিতে, মন্দিরে-মসজিদে, পাঁচতলা-গাছতলা— সবখানে ঘুইরা ঘুইরা নিজের ভোকাবুলারি তৈরি করছে এমিওয়ে। তার গানের লিরিক্স শুনলেই আপনি বুঝবেন যে, ভোকাবুলারি, ছন্দ বা রিদম— সবক্ষেত্রেই এমিওয়ে কত ভার্সেটাইল! প্রথম হিট গান ছিল `মাচায়েঙ্গে`। `মাচায়েঙ্গে` পুরা ভারত `মাচাইছে`, সত্যিকার অর্থেই। এর সিক্যুয়েল `ফিরসে মাচায়েঙ্গে`-ও ছিল হিট। তারপর `খতম হুয়ে ওয়ান্দে` তো এখন টিকটক ট্রেন্ডিংয়ের সেরা ৫ এ আছে মনে হয়। এমিওয়ের রিসেন্ট গান `রাউন্ড ওয়ান`-ও মাত্র ছয় মাসে ১০ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পাইছে। ইন্ডিয়ার কমার্শিয়াল হিপহপের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হানি সিংয়ের মতে, বর্তমানে ইন্ডিয়ান র্যাপারদের মধ্যে সবচাইতে ট্যালেন্টেড এই এমিওয়ে বান্টাই, যারে বলা হচ্ছে `ইন্ডিয়ার এমিনেম।`
এমিওয়ের গল্প কেন পাড়লাম? কারণ, এমিওয়েরে ট্র্যাক করলে আমরা নিউ হিপহপের কিছু বৈশিষ্ট্য ধরতে পারব। এর প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হইল: এই র্যাপ র। কপি কইরা আইনা বসানো জিনিশ না। বড়লোকের মদ খাওয়া মাতলামি না। এইটা ট্রু র্যাপ। র্যাপের যে আবেদন, সংবেদন, বিধ্বংসী চেহারা— তা এই র্যাপগুলায় আসতেছে। দ্বিতীয়ত, ভাষা আর টোনের চেঞ্জ। বাঙলাদেশে স্টোয়িক ব্লিস এইটা অনেক আগেই করছিল। `আবার জিগায়` তো সবারই প্রিয়। কিন্তু `আবার জিগায়`র মইধ্যে একটা বানানো-টাইপের ব্যাপার আছে। অনেকটা সৈয়দ হকের হঠাৎ একটু অপ্রমিত বাঙলায় কাব্য করার মতো। সাম্প্রতিক সময়ে জালালি সেট তা না। তাদের ভাষার এটিচ্যুড বা থ্রোয়িং সেন্স, প্রোনাউন্সিয়েশান— সব আলাদা। র জিনিশ। এমিওয়ে বান্টাইও তাই। বান্টাইয়ের লিরিক্সে আপনি শব্দের ব্যবহার খেয়াল করলে দেখবেন, সে রাস্তার ভাষায় র্যাপ করে। সে নিজেই বলছে, আমি যা শুনি প্রতিদিন, তাই আমার লিরিক্স।
তৃতীয়ত, বিষয়বস্তু। এম জি আশরাফের `মাফ কইরা দেন ভাই`র কথা বিশেষভাবে বলা লাগে এইখানে। র্যাপ গানের বিরুদ্ধে একটা বদনাম আছে— খালি মদ, মাদক আর নারী। কথা মিথ্যা না। কিন্তু দেখেন, এমজি আশরাফের `মাফ কইরা দেন ভাই`-ও গাঞ্জা খাওয়া নিয়া একটা র্যাপ সং। কিন্তু লিরিক্স আর অ্যাটিচুডে নিছক এলিটের মনোরঞ্জন নাই। এইখানে সে সোসাইটিরে ডিল করতেছে। সোসাইটিতে গাঞ্জা খাওয়া ব্যাপারটা কেমন, খাইলে কী হয়, বা ব্যক্তি আসলে কীভাবে সোসাইটির দুইটা চেহারার লগে নিজের অনিচ্ছায়ই হুট কইরা পরিচিত হয়— এই গানে সব দেখা যাইতেছে। গানের লোকেশন, বুলি আর মেসেজ— সব মিলাইয়া র্যাপ গানের এই চরিত্র একেবারেই নতুন।
এমিওয়ে বান্টাইয়ের গানেও আপনি এই জিনিশ পাবেন। বান্টাই অবশ্য আরো এককাঠি সরেস। র্যাপ সংয়ের বিরুদ্ধে `সেক্সিজম`র যে অভিযোগ সবসময়ই ওঠে, বান্টাই এর বিরুদ্ধে কথা বলছে। নিজের র্যাপে সেক্সিজম না করারও ঘোষণা দিছে সে। প্রাক্তন প্রেমিকার ব্যাপারে গিবত করতে গিয়াও শুরুটা করছে এইভাবে: `অ্যায়সা নেহি ক্যাহ রাহা হু সারি বান্দি গলত হ্যায়।` অর্থাৎ, এমিওয়ের ভিতরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পলিটিকাল কারেক্টনেসের আইডিয়াও বেশ প্রবল। কিন্তু র্যাপ মানে যে আসলে পলিটিকাল কারেক্টনেসরেই প্রশ্ন করা, সেই ব্যাপারেও এমিওয়ে সজাগ।
চতুর্থত, এদের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হইছে, লিরিক্স আর মেসেজ। এই র্যাপাররা স্রেফ দুই লাইন লিরিক্স আর পাঁচ মিনিট মিউজিকের উপর দিয়া গান হিট করাইতে চান না। এদের লিরিক্স বেশ শক্তিশালী। এমিওয়ের `মাচায়েঙ্গে` বা ডিভাইনের `শের আয়া শের` বা বাঙলাদেশের তবিব-রানা জুটির কথাই যদি বলি— এরা প্রত্যেকেই কিছু কইতে চায়। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে একটা অস্থির সময়ের সন্তান এরা। ফলে, র্যাপ করতে আইসা জাস্ট `দারু পিকে ড্যান্স মার`তে এরা চান না। এদের লিরিক্স তাই ইন্টারেস্টিং, নতুন, শক্তিশালী।
পঞ্চমত, এদের মধ্যে অনেকরেই আপনি দেখবেন পলিটিকালি মোটিভেটেড। পলিটিকালি মোটিভেটেড র্যাপ উপমহাদেশে একটা অসাধারণ জিনিশ হবে বইলাই আমার ধারণা।
ষষ্ঠত, এই আন্ডারগ্রাউন্ড র্যাপাররা কমার্শিয়াল র্যাপারদের বাইরে গিয়া, র্যাপরে আর্ট হিশাবে দেখতে চায়। আগে সেইটা যত কঠিন ছিল, এখন ততো না। ইউটিউব, বিভিন্ন সোশাল প্ল্যাটফর্মের ফলে এখন একজন র্যাপার নিজের ফ্যানবেজ ক্রিয়েট করতে পারতেছে। এই এমিওয়ে বান্টাইরে ইন্ডিয়ান আইডলে রিজেক্ট করছিল করন জোহর। কিন্তু বান্টাই থামে নাই। এখন পর্যন্ত এমিওয়ের এই বিপুল জনপ্রিয়তার সাথে ইন্ডিয়ার মেইনস্ট্রিম কমার্শিয়াল হিপহপের সম্পর্ক তেমন নাই বললেই চলে।
যাই হোক, মূলত এমিওয়ে বান্টাইয়ের কথা লিখতে গিয়াই এতকিছু লেখলাম। এমিওয়েরে দেখলে, তার আলাপ শুনলেই আপনার মনে হবে— হি ইজ আ র্যাপার। এমিওয়ের আত্মবিশ্বাসের কমতি নাই। আমার ধারণা, এমিওয়েরা উপমহাদেশে বাড়বে। বাড়তে থাকবে। আমাদের এই সময়টা হবে এই অঞ্চলের হিপহপ গানের একটা গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট।