ইজরায়েলি হামলায় গাজায় আজ নিহত ৩৮
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : অক্টোবর ২৫, ২০২৪
গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে বাড়িঘর লক্ষ্য করে আজ শুক্রবার সকালে ইজরায়লি সামরিক বাহিনীর হামলা চালিয়েছে। হামলায় ১৪ শিশুসহ ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া ইজরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজার একটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে।
হামলার পর কিছু বাসিন্দা ধ্বংসাবশেষ থেকে তাদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। কিছু শিশু তাদের খেলনা উদ্ধারের চেষ্টা করছিল।
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিহতদের মধ্যে ৩ শিশুকে একই সাদা কাফনে মোড়ানো অবস্থায় প্রস্তুত করতে দেখা গেছে।
উত্তর গাজার জাবালিয়া শহরের কাছে কামাল আদওয়ান হাসপাতালেও অভিযান চালানো হয়। ইজরায়েলি বাহিনী বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।
হাসপাতালের নার্সিং পরিচালক ঈদ সাব্বাহ বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত থেকে হাসপাতালের চারপাশে ইজরায়েলি ট্যাংক ও বুলডোজার ঘিরে রেখেছিল। তারা আহত ও বাচ্চাদের ওপর ভীতি সৃষ্টি করে গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার WHO একটি প্রতিনিধিদল এসে ৪০ রোগীকে সরিয়ে নেয়।
এরপর ইজরায়েলি বাহিনী আবার ফিরে এসে হাসপাতালের অক্সিজেন স্টোরে হামলা চালায় এবং হাসপাতালটি খালি করার নির্দেশ দেয়।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী অবকাঠামোর উপস্থিতির ভিত্তিতে কামাল আদওয়ান হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানের আগে প্রায় ৪৫,০০০ লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং এ এলাকায় হামাসের শতাধিক যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে বেইত লাহিয়া শহরে ইজরায়েলি হামলায় ৩টি বাড়ি ধ্বংস হয়, যাতে ২৫ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা ইজরায়েলের পক্ষ থেকে হাসপাতালে রোগীদের সরিয়ে নিতে আদেশ পেলেও রোগীদের রেখে যাওয়ার জন্য তারা আদেশ মানতে রাজি হননি। তাদের মতে, উত্তর গাজায় নতুন অভিযানে তিন সপ্তাহে অন্তত ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, জাবালিয়া এলাকায় অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ এলাকায় এ পর্যন্ত বহু সন্ত্রাসীকে হত্যা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট