আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহর ৩ কবিতা
প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
জানাজা শেষে
ধবল পোশাক দেখে
এক শূন্য দোকানের কথা মনে এলো।
কীভাবে গোপনে তৈরি ছিল
সেই তুলার আশ্রম!
শীতের সন্ধ্যায়— সাদা পোশাকের
ভেতর ঘুমের ছোঁয়া!
আহা, মায়ের স্তনের স্পর্শ যেন।
পানের বরজ থেকে অস্তমান
যেমন চাঁদের ছায়া,
মানুষের ক্রমশ হাঁটার দিকে
চেয়ে থাকলো—
উঠোনে শোয়া ঘুমন্ত বিড়াল।
পাপড়ি খোলার শব্দ আসে
জানালার কাচ বেয়ে।
গোলাপের গন্ধ খাটিয়া বহনকারী
মানুষের মিছিলে কি পৌঁছবে না?
দেখি— পাশের নদীর জলে
উড়াল মাছের বুদবুদ।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
চেনা শহর
আস্তে আস্তে গ্রন্থিগুলো
ছাড়িয়ে বিছিয়ে দেয় পিচের রাস্তায়।
তারপর চুমু খায়, হৃদয় মেশায়।
অনেক দূরের ছিল হাড়
হাত, পা, বুকের গাছগুলো।
সে গন্ধ শুকলো,
ভেজা জিহবা ছড়িয়ে স্বাদ নিল।
চেনা শহর বিরহে ভুগছিল পঁচিশ বছর।
সেই ধরে শুইয়ে ধরলো, ধুলিবালি
সীসা মেশানো বাতাসে।
রক্ত, ক্লাথ মাখানো আমার
এও এক পুনঃজন্ম।
মাতৃগহ্বর, মাতৃছায়া— আমার শহরে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
তোমার মুখের দিকে চেয়ে
তোমার মুখের দিকে চেয়ে,
বরফ দেশের স্লেজ গাড়ি চলে।
নিচে তাজা মাছ নড়ে,
আমি হারপুন চালাই।
পুরুষের চোখ মাছ-রক্ত ধরে
আনবে না কি হারেমের স্মৃতিগুলো?
তাই ভাবি।
এই মুখ এক জৈব নির্দেশনা।
অন্ধকারে বাতি জ্বলছে, পালঙ্ক ধরে
বেজে চলছে মায়াবী নহবত।
খানসামাদের ছুটি আজ,
স্তব্দ কুঠিজুড়ে তোমার আমার
শুধু আদিম মুহূর্ত।
না হয় এসব বাহাদুরি নাই করলাম।
ধূসর ইজেলে লিখে দিই
মাছ শিকারের আনন্দ মুহূর্ত।
চারদিকে সূর্য ডুবছে, সমুদ্রে
গোত্তা মারছে সিলেরা!
তোমার এ মুখ যেন প্রাচীন সরাইখানা,
যেখানে বিছানা করি আমি, ক্লান্ত মুসাফির।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪