আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করল চিন্ময়ের অনুসারীরা
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ২৬, ২০২৪
সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীরা আজ মঙ্গলবার বিকেলে চেম্বারের নিচ থেকে ধরে নিয়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে।
আলিফ সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। তিনি লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন না মঞ্জুর করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ শুরু করে।
এসময় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী চেষ্টা করেও প্রিজন ভ্যান আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের করে কারাগারে নিতে পারেনি। পরে বেলা পৌনে ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের (টিয়ার) শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ শুরু করলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
এরপর ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলতে থাকে। পরে চিন্ময় কৃষ্ণকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান কারাগারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় অনুসারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে চেম্বারের নিচ থেকে ধরে নিয়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করে ব্রহ্মচারীর অনুসারীরা। আহত অবস্থায় আটজন চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তারা হলেন: শ্রীবাস দাশ, শারকু দাশ, ছোটন, সুজিত ঘোষ, উৎপল ও এনামুল হক।
গুরুতর আহত হওয়া আরেকজনের নাম এখনো জানা যায়নি। অন্যদিকে জেনারেল হাসপাতালে আরও ১৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদিতা ঘোষ বলেন, “আহত অবস্থায় সাত-আটজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।”
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার লিয়াকত আলী বলেন, “একজন মারা গেছে। তবে কিভাবে মারা গেছে, এখনো জানি না।”
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহতের পরপরই আদালত এলাকায় হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে আইনজীবীরা। বুধবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে তারা।