অনন্ত সুজন

অনন্ত সুজন

অনন্ত সুজনের ৩ কবিতা

প্রকাশিত : জুলাই ০৩, ২০২৩

পতন

 

এ কী শুধুই ক্ষরণ— নাকি রক্তনদ
যেটুকু জানি, আপাদমস্তক ঘৃণা-পরিবাহী—
এই শীত আর লাগে না গায়ে!

 

আপন ছায়ার ভেতর তবুও অনিচ্ছুক বেড়ে ওঠা

 

প্রতিনিয়ত যা দেখো—
নিজেরই বাকযন্ত্রের কাছে
বিকল পড়ে থাকা
কোন এক ব্যর্থ কোলাহল।

 

ফাঁদ

 

বৃহৎ সৌন্দর্য থমকে আছে তার
ওষ্ঠের শেষ প্রান্তে
ঈশ্বর, এ তো রাতের চিহ্ন

 

কে বলবে, এ ভুল অন্ধকার, রহস্য
প্রাপ্যের দুষ্প্রাপ্যতা
বলি, এ আমার আজন্ম মৃত্যু!

 

ঋষি

 

গ্রহে গ্রহে বিবাদ সংগঠিত হবার পর
উদ্ধার করা গেল— একটি গৃহত্যাগী নক্ষত্র
পদাতিক বেশে ভূমন্থনে জড়িত।
উড়োঝাঁক ভেঙে সকল উত্তাপ নিয়ে একাকী
অবলোকনের নির্জন গুহায়। জগৎ-জঞ্জাল দু`হাতে
সরিয়ে অবিরাম ছড়ায় নক্ষত্র-রেণু।

 

এই যে ধ্যান, প্রগাঢ় সংলাপ—
চোখ বন্ধ করে ছুটে যায় উত্তরের হাওয়ায়
তার নির্ণয় দেখে গোপনে কেঁদেছে হাজারও বেদুইন
সে আজ পশ্চিমের মেঘে দিয়েছে হানা
অসীমের মমতা ভেঙে যা কিছু ঝরে পড়ে
মগ্নতার পদমূলে। বলতেই হয়, বর্ষণের অনভিজ্ঞ চিৎকার আসন্ন ঋতুতে বাড়ি ফিরে যাবে।
যেন নৈঃশব্দের ব্যাপক রীতি হতে সহসা উদ্ভাসিত
বিক্রম— পর্বতের অখণ্ড আবেগ।

 

এই সংবেদ ছড়িয়ে পড়ে বালিকা বেণীর মতো
বিশ্ব ভূগোলে— চূর্ণ করে কঠিন শিলা ও পাথর
অনুভবের গোপন মহলে বসন্তের আঘাতে
যে পাঠক আরেকবার ঘুরে দাঁড়াতে চায়
গোত্র ত্যাগ করে চিন্তারেখায়— পিপাসাপুস্তকে