অগ্নিকাণ্ড এড়াতে যা করা দরকার
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : মার্চ ০৩, ২০২৪
বাংলাদেশে প্রায়ই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, এই ধরনের ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশকে বহুমুখী পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ভবনগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক অগ্নি নিরাপত্তা পরিদর্শন, সমস্ত ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্গমন এবং অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম রয়েছে তা নিশ্চিত করা। এছাড়া অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম এবং অগ্নি নিরাপত্তার ওপর ভবনের বাসিন্দাদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। যারা এই নির্দেশ মানতে অ-সম্মতির জানাবে তাদের জন্য থাকা উচিত কঠোর শাস্তির বিধান।
অগ্নিকাণ্ড এড়াতে সচেতনতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে-
রান্নার পর চুলার আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলতে হবে।
বিড়ি বা সিগারেটের জ্বলন্ত অংশ নিভিয়ে নিরাপদ স্থানে ফেলতে হবে।
গুদাম বা কারখানায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা ও দৃশ্যমান স্থানে সতর্কীকরণ পোষ্টার প্রদর্শনের ব্যবস্থা।
কলকারখানায় অগ্নি নির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা।
বাচ্চাদের আগুন নিয়ে খেলা থেকে বিরত রাখতে হবে।
দরজা-জানালা বন্ধ রেখে গ্যাসের চুলা জ্বালানো অত্যন্ত বিপদজনক। সুতরাং গ্যাসের চুলা জ্বালানোর আগে অবশ্যই দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে এবং নিয়মিত গ্যাসের সংযোগ ও লাইন পরীক্ষা করতে হবে।
অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ান দ্বারা নিয়মিত ভবনের বৈদ্যুতিক কেবল ও ফিটিংস পরীক্ষা করতে হবে।
আবাসস্থল, কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপণী যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তা ব্যবহার করতে হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হতে অগ্নি প্রতিরোধ, অগ্নি নির্বাপণ, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।
যেকোনো ইমারতকে নিরাপদ করতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা বা বিল্ডিং কোড অনুসরণের বিকল্প নেই। সঠিক নকশা ও নির্মাণ পদ্ধতি অনুসরণ করে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
কাপড়ে যেন আগুন না লাগে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ঢিলেঢালা পোশাক, শাল, চাদর, ওড়না, শাড়ির আঁচল চট করে সরে গিয়ে আগুন লেগে যেতে পারে। তাই আঁটসাঁট হয়ে রান্নাঘরে যাবেন। দরকার হলে চাদর বা ওড়না খুলে রাখবেন।
কাজ শেষে অবশ্যই গ্যাসের চুলা নিভিয়ে দেবেন। চুলার আগুনে কাপড় শুকাতে দেবেন না।
সকালে দেশলাই জ্বালানোর আগে রান্নাঘরের জানালা খুলে দিন আগে। বদ্ধ জমা গ্যাস যেন বেরিয়ে যায়।
বেশির ভাগ বাড়িতেই স্পিরিট, স্যানিটাইজার ইত্যাদি জীবাণুনাশকভর্তি বোতল বা কনটেইনার আছে। এগুলো রান্নাঘর ও চুলা থেকে দূরে রাখবেন। কোনো অবস্থাতেই এসব জিনিসের পাশে সিগারেট বা দেশলাই ধরাবেন না
মুঠোফোন চার্জে দিয়ে কথা বলবেন না।