নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার উন্মোচন ইরানের

নতুন একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার উন্মোচন করেছে ইরানের সামরিক বাহনী ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোর্পস (আইআরজিসি)। শুক্রবার ইরান জানায়, তারা নতুন বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি করছে।

শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবিতে প্রচার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আইআরজিসির কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ ওই সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করছেন। তবে ভিডিওতে প্রায় ৯০ শতাংশ স্থান অপ্রকাশিত রয়েছে।

হাজিজাদেহ ওই স্থানকে ‘সুপ্ত আগ্নেয়গিরি’ বলে বর্ণনা করেছেন। ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আবাদানে অনুষ্ঠানে সালামি ঘোষণা করেন, আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ফোর্স ‘নতুন বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র’ তৈরি করছে। ইরান ক্রমাগত তার ক্ষেপণাস্ত্রে পরিমাণ, গুণগতমান ও নকশার দিক দিয়ে উন্নতি ঘটিয়ে যাচ্ছে।

সালামি বলেন, “আইআরজিসি এরোন্সে ফোর্স অদূর ভবিষ্যতে আরও নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সুবিধা উন্মোচন করবে। শত্রুরা ভেবেছিল, আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

ইরানের বাসিজ (স্বেচ্ছাসেবক) বাহিনী শুক্রবার রাজধানী তেহরানে ১ লাখ ১০ হাজার সদস্যের একটি বড় মহড়া দিয়েছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সম্প্রতি বেশ কয়েকটি যুদ্ধ মহড়া চালিয়েছে। অক্টোবর ও এপ্রিলে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান যে অভিযান চালায় তার একাংশ পরিচালিত হয় ভূগর্ভস্থ এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ব্যবহার করে।

লেবানন, গাজা ও ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত বাহিনী ইসরাইলের আক্রমণের মুখে পড়লেও এবং ইরানের মিত্র সিরিয়ার নেতা বাশার আল আসাদ সরকারের পতন ঘটলেও ইরান এ অঞ্চলে ক্ষমতা হারায়নি। সেটাই দেখাতে চায় দেশটি। এর আগে সোমবার আইআরজিসির মুখপাত্র জেনারেল আলী মোহাম্মদ নাঈনি হুঁশিয়ার বার্তা দিয়ে বলেন, “চলতি মাসে নতুন মহড়া ও যুদ্ধ মহড়ার আয়োজন করবে ইরান। যার মধ্যে ‘ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সিটি’ উন্মোচিত হবে।” সূত্র: সিএনএন