
কথাসাহিত্যিক চারুচন্দ্র চক্রবর্তীর আজ জন্মদিন
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : মার্চ ২৩, ২০২১
কথাসাহিত্যিক চারুচন্দ্র চক্রবর্তীর আজ জন্মদিন। ১৯০২ সালের ২৩ মার্চ ফরিদপুর জেলার ব্রাহ্মণডাঙ্গায় তার জন্ম। তিনি জরাসন্ধ ছদ্মনামেই বেশি পরিচিত।
তার পিতার নাম অম্বিকাচরণ চক্রবর্তী। প্রাথমিক স্কুলের পাঠ শেষে ১৯২০ সালে কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে সপ্তম স্থান অধিকার করে ম্যাট্রিক ও প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে তিনি এমএ পাশ করেন।
সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে তিনি দার্জিলিংয়ে ডেপুটি জেলার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিরিশ বছর নানা জেলে বিভিন্ন পদে সুনাম ও কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করেন। ১৯৬০ সালে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের সুপারিনটেন্ডন্ট হিসাবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
দীর্ঘ কর্মজীবনে জেলের লৌহকপাটের মধ্যে যে মানুষগুলোকে তিনি দেখেছেন, তাদের কথা ও কাহিনি তার উপন্যাসে মূর্ত হয়ে ওঠে। ১৯৫৩ সালের ১ মে `লৌহকপাট` এর প্রথম পর্ব গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এরপর একে একে চারটি পর্বে প্রকাশিত হয়।
তার উপন্যাসগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: তামসী, পাড়ি, মসীরেখা, ন্যায়দণ্ড, পরশমণি, উত্তরাধিকার, ছায়া, নিশানা, তৃতীয় নয়ন, হীরা চুনি পান্না, আশ্রয়, একুশ বছর, আবরণ এবং এ বাড়ি ও বাড়ি।
দুই খণ্ডে রচিত তার আত্মজীবনীমূলক রচনা হলো, নিঃসঙ্গ পথিক। প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯৭১ সালে। ছোটগল্প সংকলনও আছে ছটি। এছাড়া ছোটদের জন্য কিছু লেখা আছে `রঙচঙ`, `রবিবার` যমরাজের বিপদ` প্রভৃতি গ্রন্থে।
সাহিত্যকীর্তির জন্য তিনি `শরৎচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার` ও `মতিলাল পুরস্কার` লাভ করেন। তার বহু রচনা দেশ-বিদেশের অন্তত ছয়টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৬৩ সালে তার উপন্যাস `তামসী` অবলম্বনে হিন্দিতে `বন্দিনী` নামের চলচ্চিত্রায়িত করেন প্রখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক বিমল রায় এবং সেরা সম্মান লাভ করে।
১৯৮১ সালের ২৫ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।