ইজরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিলেন খামেনি
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : আগস্ট ০১, ২০২৪
হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাঈল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইজরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ইরানের শীর্ষ তিন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
তেহরানে ইসমাঈল হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে ঘোষণার পরপরই জরুরি বৈঠকে বসেছিল ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল। সেসময় ইজরায়েলে সরাসরি হামলা করতে নির্দেশ দেন আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
বৈঠকে রেভল্যুশনারি গার্ডের দুই সদস্যসহ শীর্ষ তিন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তারা নাম প্রকাশ করতে চাননি। এর আগে, দিনের শুরুতে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে হানিয়া হত্যাকাণ্ডের কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
এক্সের পোস্টে খামেনি বলেছিলেন, “ইরানের সীমানার মধ্যে সংঘটিত এই তিক্ত ও দুঃখজনক ঘটনার পর প্রতিশোধ নেওয়া আমাদের কর্তব্য।”
কয়েক মাস আগে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল ইরান। ইজরায়েলের মাটিতে এটিই ছিল প্রথমবার ইরানের সরাসরি হামলা।
বুধবার ইরানে গুপ্তহত্যার শিকার হন ইসমাঈল হানিয়া। নতুন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে গিয়েছিলেন তিনি।
বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়ার বাসস্থানে ইহুদিবাদী গুপ্ত হামলায় ৬২ বছর বয়সি হামাসপ্রধান ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন।
ইসমাঈল হানিয়া হত্যাকাণ্ডে ইরান সরাসরি ইজরায়েলকে দায়ী করেছে। যদিও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘটনার দায় স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেনি ইজরায়েলি সরকার। তবে তাদের মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা হানিয়া নিহত হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
ইজরায়েলের ঐতিহ্য বিষয়কমন্ত্রী আমিচায় ইলিয়াহু সামাজিকমাধ্যমে বলেছেন, হানিয়ার মৃত্যু বিশ্বকে আরও নিরাপদ করে তুলবে। এদের জন্য আর কোনো শান্তি বা আত্মসমর্পণ চুক্তি নয়, আর কোনো করুণা নেই। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস